আজাদী প্রতিবেদন ।।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। তাই যা আছে তা দিয়েই মানুষের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যেতে হবে। নো কমপ্লেইন, জাস্ট ডু ইট।’ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন চট্টগ্রামের কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে বিভাগীয় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এক লাখ চিকিৎসক দরকার। কিন্তু আছে বড়জোর ২০ থেকে ৩০ হাজার। একই ভাবে যেখানে আড়াই লাখ নার্স প্রয়োজন সেখানে আমাদের রয়েছে মাত্র ২৪ হাজার। তাই সংকট তো থাকবেই। এই সংকট নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। মানুষকে সেবা দিয়ে যেতে হবে।
নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে এলজিইজি পুরস্কার লাভ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই অর্জন আপনাদের বদৌলতেই। তবে এখানেই শেষ নয়। বরং সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদেরকে ইউএসডিজি পুরস্কারও লাভ করতে হবে। এর জন্য আমাদের একটি মহা-পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার আরো কমিয়ে আনতে হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী সিজারিয়ান অপারেশন ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দেশে ৬০/৭০ শতাংশের বেশি সিজারিয়ান অপারেশন। এটা কাম্য নয়। তাছাড়া, বিভিন্ন সংকট ও সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে অনেকে সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করেন না। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে ঠিকই করছেন। ওই সেবাটুকু সরকারি হাসপাতালে দিলে সাধারণ মানুষ সুবিধাটুকু পেতো। চিকিৎসকদের সব সময় ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি পরিহার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএমএ-চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, ডিজিএফপি পরিচালক ও বিএমএ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শরীফ, পরিবার-পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ নূরুল আমিন, স্বাস্থ্য দফতর, চট্টগ্রামের পরিচালক ডা. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল জলিল, জবি জর্জ,শংকর রঞ্জন সাহা ও ডা. উম্মে জাহান আসমা।
ডা. ফাহমিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গণি, বিএমএ, চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল, চমেক হাসপাতাল গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. শাহনারা চৌধুরী, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ডা. রুকন উদ্দিন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন