সজল : চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ।। দেশে এত বেশি সিজারিয়ান অপারেশন কাম্য নয়
,                              সদ্য সংবাদ:

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ।। দেশে এত বেশি সিজারিয়ান অপারেশন কাম্য নয়


আজাদী প্রতিবেদন ।।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। তাই যা আছে তা দিয়েই মানুষের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যেতে হবে। নো কমপ্লেইনজাস্ট ডু ইট।’ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন চট্টগ্রামের কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে বিভাগীয় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেনদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এক লাখ চিকিৎসক দরকার। কিন্তু আছে বড়জোর ২০ থেকে ৩০ হাজার। একই ভাবে যেখানে আড়াই লাখ নার্স প্রয়োজন সেখানে আমাদের রয়েছে মাত্র ২৪ হাজার। তাই সংকট তো থাকবেই। এই সংকট নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। মানুষকে সেবা দিয়ে যেতে হবে।
নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে এলজিইজি পুরস্কার লাভ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেনএটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই অর্জন আপনাদের বদৌলতেই। তবে এখানেই শেষ নয়। বরং সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদেরকে ইউএসডিজি পুরস্কারও লাভ করতে হবে। এর জন্য আমাদের একটি মহা-পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার আরো কমিয়ে আনতে হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেনবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী সিজারিয়ান অপারেশন ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দেশে ৬০/৭০ শতাংশের বেশি সিজারিয়ান অপারেশন। এটা কাম্য নয়। তাছাড়াবিভিন্ন সংকট ও সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে অনেকে সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করেন না। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে ঠিকই করছেন। ওই সেবাটুকু সরকারি হাসপাতালে দিলে সাধারণ মানুষ সুবিধাটুকু পেতো। চিকিৎসকদের সব সময় ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি পরিহার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএমএ-চট্টগ্রামের সভাপতি ডামুজিবুল হক খানডিজিএফপি পরিচালক ও বিএমএচট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডামোহাম্মদ শরীফপরিবার-পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ নূরুল আমিনস্বাস্থ্য দফতরচট্টগ্রামের পরিচালক ডামোআলাউদ্দিন মজুমদারচট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিকআব্দুল জলিলজবি জর্জ,শংকর রঞ্জন সাহা ও ডাউম্মে জাহান আসমা।
ডাফাহমিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গণিবিএমএচট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ডাফয়সাল ইকবালচমেক হাসপাতাল গাইনি বিভাগের প্রধান ডাশাহনারা চৌধুরীপরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ডারুকন উদ্দিনচট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাআজিজুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
- See more at: http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=1715&table=february2016&date=2016-02-15&page_id=1&view=0#sthash.4X7wmQll.dpuf

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কম্পিউটারের বই

ইংরেজী গ্রামার বই

পৃষ্ঠাসমূহ

বইটি পড়তে বইটির উপরে ক্লিক করুন

লেকচার সিট

ফটোশপ বই

ইংরেজী গ্রামার বই

অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর