
মাসুদ করিম : বিতর্ক আর ধোঁয়াশা কাটছে না সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোট নিয়ে। কার্যপরিধি বোঝার আগেই জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার সৌদি আরব যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন করে সম্প্রসারিত হয় সেই লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী এই জোটে যোগদানে রিয়াদের অনুরোধে দ্রুত সাড়া দিয়েছে ঢাকা। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই জোটে যোগদানের ফলে বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসকবলিত দেশগুলোতে সৈন্য পাঠানোর জন্য সৌদি আরবের অনুরোধ জানানো কিংবা চাপ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে এমন অনুরোধ রক্ষা করা কঠিন হবে। কেননা জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কারও অধীনে বাংলাদেশ সৈন্য পাঠায় না। তাছাড়া সন্ত্রাসকবলিত দেশগুলো মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানে যুদ্ধে বাংলাদেশের সৈন্য কিংবা ওইসব দেশের জনগণ যে কেউ নিহত হলেই মুসলমানদের কাছে তা স্পর্শকাতর ইস্যু হতে পারে। পাশাপাশি আইএস কিংবা অন্য যে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিলে বাংলাদেশকে তারা টার্গেট করতে পারে। বিদেশে বাংলাদেশের কর্মীরাও এর শিকার হতে পারেন। এছাড়া সামরিক জোটে অংশগ্রহণ করলে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জাতিসংঘ কিংবা ওআইসি’র অধীনে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। জানা গেছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির খুব বেশি আলোচনা হয়নি। কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে মাত্র। এতে রিয়াদে সন্ত্রাসবিরোধী সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার জন্য সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তখনই বাংলাদেশ জোটে যোগদানের সম্মতির কথা জানায়। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে এই জোটের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবিস্তারে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকে অবশ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ জোটের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলছেন। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন এই জোটে ৩৪টি মুসলিম দেশ যোগ দিয়েছে বলে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়। যদিও এই জোটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া বিদেশে সৈন্য পাঠাতে সামর্থ্যবান অন্য কোনো দেশ নেই। পাকিস্তান প্রথমে এই জোটে তাদের অন্তর্ভুক্ত করায় কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করলেও পরে তাদের যোগদান নিশ্চিত করে। আর বাংলাদেশ অসম্ভব দ্রুতগতিতে এ জোটে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিয়াদে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী একটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানান। বলা হয়, এ কেন্দ টি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী তথ্যের আদান-প্রদান সমন্বয় করবে এবং প্রয়োজনে অন্য পদক্ষেপও নেবে। এর ফলে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ গ্রহণের আওতায় রিয়াদের এ কেন্দ্রের মাধ্যমে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। সৌদি আরব নিজেও এটিকে একটি সামরিক জোট বলে অভিহিত করেছে। এসব বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, এ সেন্টারের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় হবে; বিধায় এটিকে সামরিক জোট বলা হচ্ছে। সৌদি জোটে যোগদানে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি শুক্রবার বলেন, ‘সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতিসংঘের আওতাধীন না হলে কোনো ধরনের সামরিক জোটে কিংবা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কথা সংবিধানে বলা আছে। তদুপরি কী জোট, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কার্যক্রম কিছুই এখনও পরিষ্কার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে গেলে বিশেষত সামরিক চুক্তি হলে সংবিধানের ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেটা সংসদে উত্থাপন ও আলোচনা হতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণভাবে যেসব দেশে একচ্ছত্র রাজতন্ত্র আছে এবং গণতন্ত্র নেই; সেসব দেশের সঙ্গে সামরিক বিষয়ে দহরম-মহরম কাম্য নয়।’ এদিকে সূত্র বলছে, বাংলাদেশ সাধারণত জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সৈন্য পাঠিয়ে থাকে। একক কোনো দেশের নেতৃত্বে কোনো জোটের অধীনেও বাংলাদেশ সৈন্য পাঠায় না। ইতিপূর্বে ইরাকে সৈন্য পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামফেল্ড বাংলাদেশ সফরে এসে এ অনুরোধ জানান। কিন্তু বাংলাদেশ ওই অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি। এছাড়া শান্তিরক্ষায় ব্লু হেলমেটধারী সৈন্য ছাড়া কোনো কমব্যাট ফোর্স পাঠায় না বাংলাদেশ। সৌদি আরবের নেতৃত্বে জোট গঠনের প্রাক্কালে রিয়াদের ঘোষণায় বলা হয়েছে, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করবে এ জোট। এ পর্যায়ে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এই বিষয় নিয়ে আরও আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি জাতিসংঘ কিংবা মুসলিম দেশগুলোর জোট ‘ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা’র (ওআইসি) অধীনে হলেই বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ একক কোনো দেশের অধীনে না হয়ে ওআইসির অধীনে হলে বাংলাদেশ যোগ দিতে পারে। একক কোনো দেশের এ উদ্যোগ চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি আলাপ-আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এ জোটের কার্যপরিধি কী হবে সেটিও আলোচনা করে নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এখনও এই জোটের ব্যাপারে অন্ধকারে রয়েছেন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান বলেন, ‘এই জোটের ব্যাপারে এবং তাতে যোগদানে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। আমি আমাদের দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বলতে পারব।’ প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া জানালেন আরেক সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মুফলে আর ওসমানী। তিনি বলেন, ‘এ জোটের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনও আসেনি। কেন করেছে, কীভাবে আগাবে- তা বলা মুশকিল। এ ব্যাপারে সৌদি ও বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে এটা কীভাবে কাজ করবে তার বিস্তারিত বলতে হবে। এ বিষয়ে মানুষের জানার অধিকার রয়েছে।’ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘সৌদি আরব এটিকে সামরিক জোট বললেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেনি। বাংলাদেশ সরকার শুধু বলেছে, এটি তথ্য আদান-প্রদানের একটি কেন্দ্র। তথ্য আদান-প্রদানের কেন্দ্র নিয়ে সামরিক জোট হয় না। তবে সৌদি আরব এটিকে সামরিক জোট বলছে কেন? এ প্রশ্নের জবাবের পর্যাপ্ত তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এখনও মেলেনি।’ এদিকে ঢাকার পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত রিয়াদের অনুরোধে যা বলা হয়েছে তাতে সম্মতি দিতে বাংলাদেশের কোনো অসুবিধা নেই। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সঙ্গে সহায়ক ভূমিকা পালনে দোষের কিছু নেই। তবে সৈন্য পাঠাতে হলে অবশ্যই তা জাতিসংঘের আওতায় হতে হবে। এদিকে লক্ষণীয় যে, সাম্প্রতিককালে সৌদির অনুরোধে বাংলাদেশ খুব দ্রত সাড়া দিচ্ছে। ইতিপূর্বে ইয়েমেনে সৌদি হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। অনেকে মনে করেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তির প্রধান বাজার হওয়ায় ঢাকা এসব অনুরোধ রক্ষা করছে। কিন্তু কোনো প্রকার চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই এভাবে সাড়া দেয়ার ফলে আইএসপ্রবণ দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশীরা বিপদে পড়তে পারেন। তাদের ওপর হামলা হওয়ারও যথেষ্ট সংশয় থেকে যাবে। কিছুদিন আগে লিবিয়ায় আইএস জঙ্গিরা বাংলাদেশের কর্মীদের টার্গেট করে অপহরণ করেছিল। এ কারণে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে সতর্ক অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের জাতীয় নীতি হল সন্ত্রাসবিরোধী নীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগও নিয়েছিলেন। এ কারণে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বে কোথাও কোনো জোট হলে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়ে থাকে। সেই বিবেচনায় সৌদি জোটে যোগদান অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সৌদি আরব শুধু সুন্নি মুসলমানদের নিয়ে এ জোট গঠন করেছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানসহ যেসব দেশ সন্ত্রাসকবলিত তার কোনোটিই এ জোটে নেই। ইরানকে বলা হয় শিয়াদের নেতা। সেই ইরানও এ জোটে নেই। পাকিস্তান নিজেরা জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দেয়। অথচ পাকিস্তান এ জোটে আছে। ফলে সন্ত্রাসবিরোধী জোটের প্রতি নীতিগতভাবে সমর্থন থাকলেও সেটিকে কোনো রাষ্ট্রের অধীনে না করে ওআইসির অধীনে করা হলে বাংলাদেশসহ কোনো মুসলিম দেশের এ জোটে যোগদান নিয়ে আপত্তি থাকার কারণ নেই।’ সাবেক রাষ্ট্রদূত শফিউল্লাহ অবশ্য সৌদি অনুরোধে নীতিগত সম্মতি দেয়ায় দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশের জনশক্তি আছে। তাই তাদের অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এতে আমাদের কর্মসংস্থানে সমস্যা হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে, ওআইসির অধীনে না গেলে এই জোট শিয়াদের বিরুদ্ধে এবং আমেরিকা করাচ্ছে বলে মনে হতে পারে। ফলে এতে যোগ দিলে বাংলাদেশের কর্মীরা আইএসের টার্গেট হতে পারে। লিবিয়াতেও একবার টার্গেট হয়েছিল।’ তাই তিনি জোটের কাঠামো দেখে অগ্রসর হওয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এই জোটের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এ জোটে যারা আছে তাদের একেকজনের একেক রকমের চিন্তা-ভাবনা। ফলে এ জোট কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ জোটে যোগদানের ব্যাপারে সৌদি আরবের অনুরোধ ছিল। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এ স্বার্থ বিবেচনা করেই বাংলাদেশ সম্ভবত জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরেকটু সময় নিলে ভালো হতো।’ সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফিরদাউস বলেন, ‘এটা কি রাজনৈতিক নাকি সামরিক জোট তার রূপরেখা জানা নেই। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ব্যাখ্যায় তফাৎ আছে। এ জোটে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রশ্ন হল- এ জোটের অধীনে চাইলে কি আমরা যুদ্ধে যাব? আমরা কি পাকিস্তানের সৈন্যদের সঙ্গে এক কাতারে যুদ্ধ করব? যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের কূটনীতিক জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত, সেখানে জঙ্গিবিরোধী গোয়েন্দা তথ্য কি আমরা পাকিস্তানের সঙ্গেও বিনিময় করব? আমার কাছে এসব বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে এ জোটে আমাদের সম্পৃক্ততা কতখানি হওয়া উচিত তা নিয়ে আরও চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।’ -যুগান্তর ১৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস