গত বছরের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়ন। বিশেষ করে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, সেটির পরিবর্তন হয়েছে। নানাভাবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা চোখে পড়েছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। কাজেই আগামী বছরও পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কের এই গতি অব্যাহত রেখে দেশের সুফল আনার প্রয়াস চালানো উচিত।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার সমাধান দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানের পর দেখা গেছে মানবিক এ সমস্যাটি তেমন জটিল না হলেও এটি সমাধানের জন্য দীর্ঘ ৬৮ বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের পর তিস্তার মতো বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বিষয়গুলো সামনে আসবে। মনে রাখতে হবে, কোনো বড় সমস্যা সমাধানের পর লোকজনের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়। অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায় থাকে লোকজন। সে ক্ষেত্রে সাফল্য না এলে লোকজন হতাশ হয়। কাজেই ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় সামনে আসবে। এটিকে বিবেচনায় রেখে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশকে এগোতে হবে।
বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আমরা বেশ উচ্চাশা পোষণ করি। এ দেশের বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশের কথাও বেশ প্রচার করে থাকি। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাইরের লোকজনের প্রয়োজনের বিষয়গুলো কতটা মেটানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তা ছাড়া বাস্তবতা হচ্ছে, দেশীয় বিনিয়োগ সেভাবে হয়নি। আর দেশের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ না করলে বিদেশ থেকে কতটা বিনিয়োগ আসবে, তা বলা মুশকিল।
সন্ত্রাসের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বছরটা ভালো গেছে তা বলার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে তার বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশেও বছরের শেষ দিকে যা ঘটছে, তা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন