বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় হঠাৎ করেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। গুলশানে কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তার মধ্যেই ইতালির নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনা এই উদ্বেগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জঙ্গি হামলার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডা নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্কতার সাথে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছে।
এ দিকে ইতালির নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেন।
বাংলাদেশসহ দণি এশিয়ার দেশগুলোতে মার্কিন স্বার্থের ওপর জঙ্গি হামলার সম্ভাব্য পরিকল্পনার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প থেকে এই সতর্ক বার্তা এলো। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস হালনাগাদ করা এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধরনের হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরাও তিগ্রস্থ হতে পারেন।
বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেসব নতুন তথ্য পাচ্ছে তাতে ধারণা করা যায়, দণি এশিয়ার জঙ্গি দলগুলো এই অঞ্চলে মার্কিন স্থাপনা, মার্কিন নাগরিক ও মার্কিন স্বার্থের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে। ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা দফতরের অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে বড় ধরনের জমায়েত বা আন্তর্জাতিক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (যেখানে বিদেশীরা সমবেত হতে পারে) অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদেরও একই পরামর্শ দিয়ে রেস্তোরাঁ, হোটেলসহ সব জনসমাগমস্থলে চলাফেরার েেত্র ‘উচ্চমাত্রায় সতর্কতা’ অবলম্বন করতে বলেছে মার্কিন দূতাবাস।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল গত শনিবার বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দিলে হঠাৎ করেই জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গটি সামনে আসে। তার আগের দিন অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) বাংলাদেশে ভ্রমণ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে এক বার্তায় তাদের নাগরিকদের জানায়, জঙ্গিরা বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে- এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।
এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে আসেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বৈঠক করেন। তাকে আশ্বস্ত করে সরকারের প থেকে বলা হয়, জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়টি ভিত্তিহীন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্রিটেনও বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাফেরা সীমিত করে আনার পরামর্শ দেয়। ব্রিটেন বলেছে, জঙ্গিদের কাছ থেকে হুমকি রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থের ওপর জঙ্গিদের আঘাত হানার পরিকল্পনার নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।
এরই মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে তাভেলা সিজার নামে এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে রাতেই তথ্য দেয় সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ নামের একটি ওয়েবসাইট, যারা জঙ্গি হুমকি পর্যবেণ করে থাকে। তবে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জঙ্গিবাদ ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর আকস্মিক উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না সাম্প্রতিককালে হঠাৎ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বিরাট কোনো পরিবর্তন হয়েছে। জঙ্গিবাদ সমস্যা পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি রয়েছে। বাংলাদেশেও আছে। সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করেই সাধারণত এক সুরে কথা বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকে। পশ্চিমাদের কথা বলার একটি ধরন তো অবশ্যই রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে পশ্চিমাদের এক সুরে কথা বলার কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে পাই না।’
ভারতে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার লিয়াকত আলী বলেন, ‘নতুন কোনো কিছুতো হয়নি যার জন্য পশ্চিমারা বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণটা আমার কাছে পরিষ্কার না।’
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়ে সময়ে মানুষজন গ্রেফতার করে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী গ্রুপের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনে। ব্লগার হত্যাকারীদের সাথেও জঙ্গিবাদী গ্রুপের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়। এগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমারা জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কি নাÑ জানতে চাওয়া হলে লিয়াকত আলী বলেন, ‘এটা বলা কঠিন। পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে বাড়তি কোনো তথ্য রয়েছে কি না তা আমরা জানি না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারা কিছু না কিছু বলবে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের নিরাপত্তা দল ঢাকা ঘুরে গিয়ে কি প্রতিবেদন দেয় তা-ও দেখার বিষয়।’
এ দিকে ইতালির নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেন।
বাংলাদেশসহ দণি এশিয়ার দেশগুলোতে মার্কিন স্বার্থের ওপর জঙ্গি হামলার সম্ভাব্য পরিকল্পনার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প থেকে এই সতর্ক বার্তা এলো। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস হালনাগাদ করা এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধরনের হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরাও তিগ্রস্থ হতে পারেন।
বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেসব নতুন তথ্য পাচ্ছে তাতে ধারণা করা যায়, দণি এশিয়ার জঙ্গি দলগুলো এই অঞ্চলে মার্কিন স্থাপনা, মার্কিন নাগরিক ও মার্কিন স্বার্থের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে। ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা দফতরের অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে বড় ধরনের জমায়েত বা আন্তর্জাতিক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (যেখানে বিদেশীরা সমবেত হতে পারে) অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদেরও একই পরামর্শ দিয়ে রেস্তোরাঁ, হোটেলসহ সব জনসমাগমস্থলে চলাফেরার েেত্র ‘উচ্চমাত্রায় সতর্কতা’ অবলম্বন করতে বলেছে মার্কিন দূতাবাস।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল গত শনিবার বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দিলে হঠাৎ করেই জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গটি সামনে আসে। তার আগের দিন অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) বাংলাদেশে ভ্রমণ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে এক বার্তায় তাদের নাগরিকদের জানায়, জঙ্গিরা বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে- এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।
এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে আসেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বৈঠক করেন। তাকে আশ্বস্ত করে সরকারের প থেকে বলা হয়, জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়টি ভিত্তিহীন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্রিটেনও বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাফেরা সীমিত করে আনার পরামর্শ দেয়। ব্রিটেন বলেছে, জঙ্গিদের কাছ থেকে হুমকি রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থের ওপর জঙ্গিদের আঘাত হানার পরিকল্পনার নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।
এরই মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে তাভেলা সিজার নামে এক ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে রাতেই তথ্য দেয় সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ নামের একটি ওয়েবসাইট, যারা জঙ্গি হুমকি পর্যবেণ করে থাকে। তবে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জঙ্গিবাদ ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর আকস্মিক উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না সাম্প্রতিককালে হঠাৎ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বিরাট কোনো পরিবর্তন হয়েছে। জঙ্গিবাদ সমস্যা পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি রয়েছে। বাংলাদেশেও আছে। সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করেই সাধারণত এক সুরে কথা বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকে। পশ্চিমাদের কথা বলার একটি ধরন তো অবশ্যই রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে পশ্চিমাদের এক সুরে কথা বলার কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে পাই না।’
ভারতে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার লিয়াকত আলী বলেন, ‘নতুন কোনো কিছুতো হয়নি যার জন্য পশ্চিমারা বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণটা আমার কাছে পরিষ্কার না।’
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়ে সময়ে মানুষজন গ্রেফতার করে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী গ্রুপের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনে। ব্লগার হত্যাকারীদের সাথেও জঙ্গিবাদী গ্রুপের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়। এগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমারা জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কি নাÑ জানতে চাওয়া হলে লিয়াকত আলী বলেন, ‘এটা বলা কঠিন। পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে বাড়তি কোনো তথ্য রয়েছে কি না তা আমরা জানি না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারা কিছু না কিছু বলবে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের নিরাপত্তা দল ঢাকা ঘুরে গিয়ে কি প্রতিবেদন দেয় তা-ও দেখার বিষয়।’
ইইউ’র নিন্দা : ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন। সিজারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিজার বাংলাদেশে এসেছিলেন হতদরিদ্রদের সাহায্য করতে, যা তার এ হত্যাকাণ্ডকে আরো বেশি লোমহর্ষক করে তুলেছে। এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত এ বর্বরোচিত হামলার তদন্ত এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতের সাথে ইইউ ডেলিগেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটেনের নিন্দা : তাভেলা সিজার হত্যার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত এবং ভীতিকর’ আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে হাইকমিশনার বলেন, নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিসিও-বিডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাভেলা সিজার হত্যা একটি কাপুরুষোচিত ঘটনা। একজন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এমন হামলার ঘটনা সত্যিই ভীতিকর।
ব্রিটিশ দূত নিহতের শোকাহত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি : ঢাকায় ইতালির নাগরিককে হত্যা এবং অব্যাহত হুমকি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদার মনে করে বলে গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকায় ইতালির নাগরিক হত্যা সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, নিহতের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব এবং ইতালির প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক : ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খুরশেদ আলমের সাথে গতকাল দুপুরে বৈঠক করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খুরশেদ আলম বলেন, কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
তিনি বলেন, ইইউর রাষ্ট্রদূতের বৈঠকটি ছিল পূর্বনির্ধারিত। তার সাথে তাভেলা সিজার হত্যা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। হত্যার আগে তাভেলাকে কেউ অনুসরণ করছিল। হতে পারে হত্যাকারীরা তাকে চিনতো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিদেশী নাগরিক হত্যার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ ও র্যাব - এই তিন বাহিনীর পৃথক তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।কূটনৈতিক প্রতিবেদক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫,বুধবার, ০০:০০
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/57701#sthash.wyiPFKha.dpuf

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন